শিশু মৃত‍্যুর ঘটনাকে ঘিরে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপর হামলা

19th April 2020 বাঁকুড়া
শিশু মৃত‍্যুর ঘটনাকে ঘিরে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপর হামলা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের ওপর হমলার অভিযোগে মৃত শিশুর বাবা রাজীব রায় এবং শিশুর দাদু ও এক কাকাকে আজ গ্রেপ্তার করে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলে পুলিশ। বিচারক এই তিনজনকে আগামী ৩০ এপ্রিল ফের আদালতে তোলার নির্দেশ দেন।এবং এই ১১ দিন ধৃতরা জেল হেপাজতে থাকবেন বলেও নির্দেশ দেন বিচারক। অন্যদিকে,শনিবার ঘটনার পর শিশু বিভাগের চিকিৎসকরা তাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কর্ম বিরতিতে যোগ দেন। বেশীরাতে পুলিশ মৃত শিশুর বাবা,কাকা,ও দাদুকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে চিকিৎসারা ফের কাজে যোগ দেন। এই ঘটনার পর চিকিৎসারা তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করারও দাবী তোলেন জেলা প্রশাসনের কাছে। প্রসঙ্গত,মাস পাঁচেকের রাজেশ্বরী নামে এক শিশু কন্যাকে শনিবার বিষ্ণুপুর হাসপাতাল থেকে বাঁকুড়ায় রেফার করলে শিশুটিকে নিয়ে বাঁকুড়া মেডিকেলে পৌঁছায় পরিবারের লোকজন। কিন্তু শিশুটিকে চিকিৎসারা মৃত বলে ঘোষনা করেন। এর পরই উত্তেজনা ছড়ায়।শিশুর ডেথ সার্টিফিকেট চাওয়াকে কেন্দ্র করে চিকিৎসাকদের সাথে বচসা বাঁধে শিশুর পরিবারের লোকজনদের। তারপর তা চরমে ওঠে। চিকিৎসকদের অভিযোগ, শিশুর পরিবারের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। যদিও চিকিৎসকদের অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবী করেছেন, পরিবারের লোকজন। শিশুটির বাবা রাজীব রায় বিষ্ণুপুর শহরের কৃষ্ণগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।তিনি বিষ্ণুপুর থানায় সিভিক পুলিশ হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে। শনিবার, হামলার অভিযোগ তুলে শিশু বিভাগের চিকিৎসকরা মৃত শিশুর বাবা রাজীব বাবুকে ও পরিবারের আরও দুইজন কে আটকে রাখে। এবং পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় হাসপাতাল কতৃপক্ষ। আজ রবিবার বাঁকুড়া থানার ধৃতদের আদালতে তুললে বিচারক ১১ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।